প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের একটি লাইভ টকশোতে বক্তব্য রাখেন দীর্ঘদিনের আড়ালে থাকা মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শরিফুল হক ডালিম (বীর বিক্রম)। তার বিরুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। মেজর ডালিম ৫০ বছরের লাইভে সব প্রশ্নের উত্তর দেন।
লাইভ চলাকালীন এক পর্যায়ে তিনি তার হাত দেখান, একটি আঙুল নেই। কেন তার হাতের আঙুল ছিল না তা প্রকাশ করলেন তিনি।
লাইভ চলাকালে মেজর ডালিম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বেশ কয়েকবার গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, যুদ্ধে আমি তিন-চারবার আহত হয়েছি। আমার হাতের অবস্থা দেখুন। এই কথাগুলো বলার পর তিনি তার বাম হাত দেখালেন, যার একটি আঙুল ছিল না। যুদ্ধক্ষেত্রে আহত হওয়ার কারণে তাকে এই আঙুল হারাতে হয়।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি শুধু আঙুলই হারাননি, শরীরের আরও বেশ কিছু অংশে আঘাত পেয়েছেন। এই আঘাতের চিহ্নগুলি তার সাহসী যুদ্ধ জীবনের সাক্ষ্য বহন করে।
আরও পড়ুন: ভারতীয়দের খোঁচা- ‘তোমাদের ভিসা কোথায়?’
মেজর ডালিমকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে বিতর্ক চলছে, তিনিই আসল মেজর ডালিম। Google এবং অন্যান্য তথ্য যাচাই করে কিছু তথ্য পাওয়া যাবে। যেখানে উল্লেখ আছে, ১৯৭১ সালের জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তিনি ৪ নং সেক্টরের (সিলেট-মৌলভীবাজার) নির্দেশে আমার গ্রামের দিলকুশ-লাঠিটিলায় যুদ্ধ করতে আসেন। আসার পর তিনি পাকিস্তানি ক্যাম্প আক্রমণের জন্য একটি যুদ্ধ পরিকল্পনা তৈরি করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি তিনটি দল নিয়ে যুদ্ধে নামেন। কিন্তু যুদ্ধের সময় পরিকল্পনায় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে মুক্তিযোদ্ধারা একে অপরকে গুলি করতে থাকে। হাতে গুলি লেগে আহত হন তিনি। পরে রক্তক্ষরণে চিকিৎসার জন্য ৯০ মাইল দূরে চলে যান। তার হাতের উন্নতি না হওয়ায় পরে তিনি ডাক্তার ও তার বন্ধুকে (বাপ্পি) ধন্যবাদ জানিয়ে কলকাতায় চিকিৎসা নেন। কলকাতায় যাওয়ার পর হাতে সংক্রমণের কারণে বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙুল কেটে ফেলা হয়।
ফ্যাক্ট রুমার স্ক্যানার বিষয়টি নিয়ে এখনো মুখ না খুললেও বলা যায়, সার্বিক তথ্য বিশ্লেষণ করে গতকাল সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মেজর ডালিম নিজেই।
No comments:
Post a Comment